স্বাধীন বাংলাদেশ যার জন্ম ১৯৭১ সালে হলেও আমরা আমাদের জাতীয় চেতনা নিয়েও আজও জাগ্রত!! প্রবাসী বাঙ্গালীরা দেশকে নিয়ে আমরা খুব বেশি ভাবি এবং চিন্তার প্রতিফলনও করে দেখাতে ইচ্ছুক থাকি সেটা হতে পারে দেশের যেকোন দুর্যোগ-ক্রান্তিকালে বা দেশের মধ্যে চলা কোন রাজনৈতিক বৈরী পরিবেশেও।

বিদেশের মাটিতে থেকেও আমরা দেশের জাতীয় উৎসব পালন করি অত্যান্ত গর্বের সাথে, অহংকার বোধ করি যে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। স্বাধীনতা যুদ্ধে রক্তিম ত্যাগের ইতিহাস আমরা সকলেই কম বেশী জানি এবং উপলব্ধতায় থাকি। বাঙ্গালী চেতনা বিকাশে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে সপক্ষের শক্তিতে বিশ্বাসী মহান বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনকের সৃষ্টি বাংলাদেশ এবং তার রাজনৈতিক দল "আওয়ামী লীগ”। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন বিদেশের মাটিতে "আওয়ামী লীগ" এবং এর অঙ্গ সংগঠনের শাখা কমিটি তৈরী করার হেতু কি? অনেকেই এর উত্তর অত্যান্ত বিষদভাবেই জানেন। তাই উত্তর আপনাদের মাঝে বিস্তারিত হোওক গভীরভাবে জাতীয় চেতনায়। সংক্ষেপে বলতে চাই বিদেশের চাকচিক্য জীবনে আশক্তিতে যেন আমরা আমাদের দেশকে যেন না ভুলে যাই আর না ভুলে যাই স্বাধীন বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যই ছিলো আমাদের জাতির জনকের সোনার বাংলা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের লোকজন জানেন বাংলাদেশ সম্পর্কে। হয়ত অনেকে বলেন যে বাংলাদেশে প্রতিবৎসর বন্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় সেইভাবে। অনেকে হয়ত চিনেন বাংলাদেশের "ম্যানগ্রোভ/ সুন্দরবন", সমুদ্রসৈকত, চা-বাগান ইত্যাদিকে নিয়ে। আবার অনেক বিদেশীরা বাংলাদেশকে চিনেন কারন আমাদের দেশের সাধারন জনগন অত্যান্ত বন্ধুবৎসল বলে! তাহলে প্রশ্ন করি যে আমাদের দেশকে কি ঐ সমস্ত সাধারনভাবে সীমাবদ্ধতায় পরিচয় আর কতদিন করাবো বা একই রকমভাবে পরিচিতি নিজেদের দিতে থাকবো? জাতির জনকের সুযোগ্যা কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার "ডিজিটাল বাংলাদেশ" এখন অনেক এগিয়ে! প্রবৃদ্ধির হার হিসাব করলে এশিয়ার মহাশক্তিধর চীন এবং ভারতের থেকেও এগিয়ে বাংলাদেশ।

জননেত্রী শাসনামলে দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উঠে এসেছে! আমাদের সকলের উচিৎ হবে দেশের প্রগতির গতিকে আরোও গতিশীল করে তুলে ধরা যাতে দেশের গৌরব বিশ্বের অন্যান্য দেশসমূহ ভালো করে জানতে পারে এবং বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তাদের বাণিজ্যিক ক্ষেত্রগুলো বাংলাদেশের দিকে মনোযোগ দিতে পারে। মানবিক দেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ যা ১১ লক্ষের বেশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রমান করেছেন, উনি তাই চান যেন দেশের সকল ধর্ম-মতের লোকদের সমান অধিকার আরোও সুদৃঢ় হোওক।

সোনার বাংলার স্বপ্ন যেমন দেশপ্রেমী মানুষের ঠিক কতিপয় গোষ্টিও সোচ্চার দেশবিরোধী কার্যক্রমেও! দেশবিরোধী কুচক্রীমহল দেশেও যেমন রয়েছে তেমনি দেশের বাহিরেও! তাই বিদেশের মাটিতে মুজিববাদী সংগঠনের অত্যান্ত দরকার দেশবিরোধী লোকদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে। সঠিক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে দেশের স্বার্থে কাজ করে যেতে হবে প্রতিটি নাগরিকদের যেমন দ্বায়িত্ব ঠিক তেমনি দেশবিরোধী কুচক্রিদের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হওয়াও জরুরি।

সেই লক্ষ্যে আয়ারল্যান্ডেও "আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগ" এবং আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে "ডাবলিন আওয়ামী লীগ" এর জন্ম।

আয়ারল্যান্ড শাখার আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক চর্চা অনেকটাই নতুন বিশ্বের অন্যান্য দেশের আওয়ামী লীগ শাখার তুলনায়। এমনকি ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায়ও।

"ডাবলিন আওয়ামী লীগ" কমিটি পরিচালিত হচ্ছে অত্যান্ত যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে যারা শিক্ষীত এবং সঠিক মুজিববাদী চেতনায় উজ্জিবীত শুধুমাত্র তাদের নিয়ে। বর্তমান ১০ই মে ২০২০, এই সময়ে চলমান কমিটির সভাপতি সম্মানিত জনাব ফিরোজ হোসেন এবং সম্মানিত সাধারন সম্পাদক বাবু অলক সরকার উভয়ই ত্যাগী নেতৃত্ব।

আয়ারল্যান্ড শাখার আওয়ামী লীগেও রয়েছেন প্রচুর জ্ঞানী নেতৃত্ব যেমন কর্কের জনাব রফিক খান যিনি আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের একজন প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক।

বলে রাখা দরকার যে, আয়ারল্যান্ডের আওয়ামী লীগ এবং ডাবলিন আওয়ামী লীগে অনেক সৎ, দেশপ্রেমী এবং যোগ্য নেতা-কর্মীরা নিজেদের উদ্দোগ্যেই রাজনৈতিক কর্মশালা এবং বিভিন্ন অনুষ্টান করে যাচ্ছেন। যার মধ্যে পাসপোর্ট সার্জারি, মহান একুশে দিবস পালন, স্বাধীনতা দিবস পালন, বিজয় দিবস পালন, ইফতার মাহফিল পালন সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড উল্লেখযোগ্য।

ভবিষ্যতের আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগ এবং ডাবলিন আওয়ামী লীগ শিক্ষিত, দক্ষ এবং যোগ্য লোকদের দ্বারা পরিচালিত হবে সেটাই দেশপ্রেমী বাংলাদেশীরা আশা এবং প্রত্যাশা করে।

শেষের দিকে একটু বলা দরকার যে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা যদি ধরা হয় ১৮ কোটি তাহলে আওয়ামী লীগ করার মতো লোক দেখা যাচ্ছে ২০ কোটি! বিষয়টা রুপক হলেও উড়িয়ে দিতে পারেন না! কারন দেশে-বিদেশে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শাখায় দেখা যাচ্ছে "জামাত-বিএনপি" করা লোকজনও কমিটিতে ঢুকে যাচ্ছে বিভিন্ন উপায়ে!

তাই জোরালো প্রত্যাশা থাকবে আয়ারল্যান্ডে আওয়ামী লীগে সম্মানিত উর্ধ্বতন নেতৃত্বস্থানীয় নেতৃবৃন্দ যারা রয়েছেন তারা অতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখবেন যে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে দৃষ্টি রাখতে এবং শক্তহাতে "হাইব্রিড লোকদের/ জামাত-বিএনপি" কুচক্রিদের দমন করতে।

মুজিবীয় ধন্যবাদ সকলকে জানাচ্ছি ঐক্যবদ্ধ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার "ডিজিটাল বাংলাদেশ" গঠনে এগিয়ে আসতে মুক্তিযু্দ্ধের সপক্ষের শক্তিকে আরোও বিকশিত করতে।

জয় বাংলা - জয় বঙ্গবন্ধু